এবার এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে পরীক্ষা আয়োজন
করা হবে। গতকাল শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
যেহেতু করোনা একেবারে নির্মূল হচ্ছে না তাই, কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পাবলিক পরীক্ষার আয়োজন করা যায় সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দফতর, সংস্থার প্রধানদের অংশগ্রহণে করোনাকালীন ও করোনা-পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এক অনলাইন সভায় সভায় সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
সেইসঙ্গে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কি হতে পারে সে বিষয়েও একটি প্রস্তাবনা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ সময় একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশ দেন।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর সংস্থার কর্মকর্তারাও যুক্ত ছিলেন।
সভায় বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার কারণে কওমি মাদরাসা ছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।